"চিলেকোঠার ঘর" রাসকিন বন্ডের এক অনন্য সাহিত্যকর্ম, যেখানে নিঃসঙ্গতা, স্মৃতি আর প্রকৃতির নির্জন সৌন্দর্য মিলেমিশে তৈরি করেছে এক গভীর অনুভবের গল্প। সরল ভাষা ও মায়াবী পরিবেশ নির্মাণে এটি একটি হৃদয়ছোঁয়া বাংলা অনুবাদ উপন্যাস। Read more
মূল ভাষা: ইংরেজি (The Room on the Roof) | বাংলা অনুবাদ
প্রথম প্রকাশ: 1956 | ধরন: আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস, কিশোর-মনস্তত্ত্ব, জীবনধর্মী সাহিত্য
"চিলেকোঠার ঘর" রাসকিন বন্ডের আত্মার খুব কাছের একটি উপন্যাস। এটি কেবল একটি গল্প নয়—বরং এক কিশোরের মনে চলা ভাবনার, বেদনার, নির্জনতায় ডুবে থাকা আকাঙ্ক্ষার ভাষা। ভারতীয় পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাস বাংলা অনুবাদে এসেছে এক মৃদু আবেগময় কণ্ঠে, যা সহজেই মন ছুঁয়ে যায়।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র রুস্তি, এক ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত কিশোর, যিনি দাদুর কঠোর শাসনে বেড়ে উঠছেন উত্তর ভারতের এক ছোট শহরে। কিন্তু তার মন ছুটে চলে স্বাধীনতার দিকে — সে চায় নতুন বন্ধুত্ব, নতুন অভিজ্ঞতা আর নিজেকে খুঁজে পাওয়ার সুযোগ। সেই খোঁজ তাকে নিয়ে আসে এক ‘চিলেকোঠার ঘর’-এ, যেখানে শুরু হয় এক অন্য জীবনের অধ্যায়।
এই উপন্যাসে রাসকিন বন্ড চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন:
শৈশব ও কৈশোরের উত্তরণকাল
বয়ঃসন্ধির একাকীত্ব এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা
সাহচর্য, প্রেম ও বিচ্ছেদের সূক্ষ্ম অনুভব
প্রকৃতির সঙ্গে গভীর আত্মিক যোগাযোগ
এই বাংলা অনুবাদ উপন্যাসটি এমন একটি সাহিত্যকর্ম যা পাঠককে বারবার থমকে যেতে বাধ্য করে—জীবনের নানা স্তরে নিজেকে ফিরে দেখার সুযোগ করে দেয়।
রাসকিন বন্ডের প্রথম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত উপন্যাস
সাহিত্যে গভীর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহজ-সরল ভাষার নিপুণ ব্যবহার
১৭ বছর বয়সে লেখা হলেও এর পরিণত সাহিত্যভাব বিস্ময়কর
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত (John Llewellyn Rhys Prize)
আপনি যদি চান এক নিঃশব্দ, মৃদু অথচ চিন্তাসম্পন্ন উপন্যাস
যারা শৈশব-কৈশোরের সংবেদনশীল সময়ের সাহিত্যে আগ্রহী
যারা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ও সাহিত্যিক পরিপক্বতা খুঁজে পান সাদামাটা গল্পে
"চিলেকোঠার ঘর" এমন একটি গল্প যা কেবল কিশোর বয়স নয়, বড়দের কাছেও স্মৃতিময় করে তোলে তাদের নিজের কৈশোরকে। রাসকিন বন্ডের লেখায় আছে এক ধরনের শান্ত, নিঃশব্দ সৌন্দর্য, যা আজকের দ্রুতগতির জীবনে একটুখানি থেমে থাকার সুযোগ দেয়।
| Specifications | Descriptions |
|---|---|
Lorem, ipsum dolor sit amet consectetur adipisicing elit. Exercitationem, facere nesciunt doloremque nobis debitis sint?
